র‌্যাংকিংয়ে সেরা ২০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, শীর্ষে নর্থসাউথ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাংকিং করা হয়েছে। ২০১৯ সালে করা র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। দ্বিতীয় স্থানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। বাংলা ট্রিবিউন ও ঢাকা ট্রিবিউনের যৌথ উদ্যোগে ওই র‌্যাংকিং করার উদ্দেশ্যে একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়। ওই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে ওআরজি-কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেড। র‍্যাংকিংয়ে সেরা ২০ বিশ্ববিদ্যালয় হলো:

১. নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (স্কোর: ৭৭.১১)

২. ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি (স্কোর: ৭৫.৬৩)

৩. ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি (স্কোর: ৭১.১৭)

৪. ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (স্কোর: ৭০.২১)

৫. আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (স্কোর: ৬৮.০০)

৬. আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (স্কোর: ৬৫.১৫)

৭. ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (স্কোর: ৬৫.১৪)

৮. ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (স্কোর: ৬৫.১২)

৯. ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (স্কোর: ৬৩.৬৮)

১০. দ্য ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (স্কোর: ৬০.২৮)

১১. ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) (স্কোর: ৫৯.০৩)

১২. সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি (স্কোর: ৫৬.৯৬)

১৩. স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি (স্কোর: ৫৬.৫৫)

১৪. বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি) (স্কোর: ৫৪.৪২)

১৫. ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি (স্কোর: ৫৩.৪৪)

১৬. নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (স্কোর: ৫২.৩৮)

১৭. ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) (স্কোর: ৫১.৮০)

১৮. ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ (ইউডা) (স্কোর: ৪৯.৯৪)

১৯. গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (জিইউবি) (স্কোর: ৪৯.৫৯)

২০. মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এমআইইউ) (স্কোর: ৪৯.৫১)

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বর্তমানে ১০১টি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি রয়েছে। এর মধ্যে ৬৫টি ইউনিভার্সিটিকে ওই গবেষণার আওতাভুক্ত করা হয়নি। ৪১টি ইউনিভার্সিটিতে এখনও কোনও সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়নি, ১২টি ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রভর্তি-প্রক্রিয়ায় ইউজিসির নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, ৮টি ইউনিভার্সিটিতে এখনও শিক্ষা-কার্যক্রম শুরু হয়নি, ৩টি ইউনিভার্সিটি বিশেষায়িত ইউনিভার্সিটি হিসেবে পরিচিত এবং একটিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১ হাজারের নিচে থাকায় এসব ইউনিভার্সিটিকে বাদ দিয়ে বাকি ৩৬টির মধ্যে র‍্যাংকিংয়ের গবেষণাটি পরিচালিত হয়। ফ্যাকচুয়াল, পারসেপচুয়াল ও এই দু’টির স্কোরের সমন্বয়ে চূড়ান্ত র‍্যাংকিং নির্ধারণ করা হয়েছে। স্কোর ১০০ এর মধ্যে র‍্যাংকিং বিবেচনা করা হয়েছে।

এই গবেষণার মূল লক্ষ্য হলো ইউনিভার্সিটিগুলোকে একটি র‌্যাংকিংয়ের আওতায় আনা। ৬৫টি ইউনিভার্সিটিকে এই গবেষণার আওতাভুক্ত করা হয়নি। এর মধ্যে ৪১টি ইউনিভার্সিটিতে এখনও কোনো সমাবর্তন হয়নি, ১২টি ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র ভর্তি-প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, ৮টি ইউনিভার্সিটিতে এখনও শিক্ষা-কার্যক্রম শুরু হয়নি, ৩টি ইউনিভার্সিটি বিশেষায়িত ইউনিভার্সিটি হিসেবে পরিচিত এবং একটিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১ হাজারের নিচে থাকায় এসব ইউনিভার্সিটিকে বাদ দিয়ে বাকি ৩৬টির মধ্যে র‌্যাংকিংয়ের গবেষণাটি পরিচালিত হয়।

বলা হয়েছে, গবেষণা ব্যয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। তাদের বাৎসরিক গবেষণায় ব্যয় ৪৮.২৩ কোটি টাকা। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ব্যয় করেছে ৭.৬৬ কোটি টাকা।

এ ছাড়া ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ব্যয় করেছে ৫ দশমিক ৪ কোটি টাকা, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যয় ৪ দশমিক ৩৪ কোটি টাকা। শীর্ষ পাঁচের পাঁচ নম্বরে থাকা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির গবেষণা ব্যয় ৩ দশমিক ৯৮ কোটি টাকা। গবেষণাপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে শীর্ষে আছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশন্যাল ইউনিভার্সিটির প্রকাশিত গবেষণাপত্রের সংখ্যা ৫৩৪টি।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রকাশনার সংখ্যা ৩২৩টি। তৃতীয় স্থানে থাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাপত্রের সংখ্যা ২৯৩টি। এই তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে যথাক্রমে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস ও সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, যাদের গবেষণাপত্রের সংখ্যা যথাক্রমে ২৭৫ ও ২৪৯টি।

শিক্ষার্থী সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। তাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা ২০ হাজার ২৫ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, তাদের রয়েছে ১৮ হাজার ২৯০ জন শিক্ষার্থী।

এ ছাড়া শিক্ষার্থী সংখ্যায় তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে রয়েছে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, শিক্ষার্থী সংখ্যা ১১ হাজার ৯৩৫ জন, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, শিক্ষার্থীসংখ্যা ১০ হাজার ২৭৯ জন ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, শিক্ষার্থীসংখ্যা-৯ হাজার ৭৬২ জন।

অন্যদিকে পূর্ণকালীন শিক্ষকে সেরা পাঁচের মধ্যে থাকতে পারেনি কয়েকটি শীর্ষ ইউনিভার্সিটি। এই তালিকায় শীর্ষে আছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির পূর্ণকালীন শিক্ষকের হার ৯৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিতে পূর্ণকালীন শিক্ষকের হার ৯০ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

তৃতীয় স্থানে থাকা আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এই হার ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। ৮২ দশমিক ৭৫ শতাংশ পূর্ণকালীন শিক্ষক নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ এবং এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষকের হার ৮১ দশমিক ১২ শতাংশ।

শিক্ষকরা ছয়টি মানদণ্ডে এই পাঁচটি ইউনিভার্সিটিকেই সেরা পাঁচে রেখেছেন। এর মধ্যে শিক্ষা ও কাজের পরিবেশের মানদণ্ডে শীর্ষ পাঁচে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি।

সার্বিক সুখ্যাতির মানদণ্ডে বিচারে পাঁচটি ইউনিভার্সিটি হচ্ছে যথাক্রমে, নর্থ সাউথ, ব্র্যাক, আহসানউল্লাহ, ইস্ট-ওয়েস্ট ও ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি। অবকাঠামোর বিচারেও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সেরা। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ইউনিভার্সিটি হচ্ছে যথাক্রমে আহসানউল্লাহ, ইস্ট ওয়েস্ট ও ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি। এই মানদণ্ডে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান পাঁচ।

পাশ করা মানের দিক থেকে দেশের সেরা পাঁচটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি হচ্ছে যথাক্রমে নর্থ সাউথ, ব্র্যাক, আহছানউল্লাহ, ইস্ট ওয়েস্ট, ইন্ডিপেনডেন্ট এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর